Advertisement

Saturday 28 January 2017

লেবুর রসের ১২ উপকারিতা

 
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ফল থেকে সবচেয়ে বেশি রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। পেয়ারা, আপেল, লেবুসহ বিভিন্ন ফল আমরা প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। 
তবে এসব ফলগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা লেবুর রসে। 
আসুন জেনে নিন লেবুর রসের উপকারিতা-

১. কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে। 
২. লিভার পরিষ্কার রাখে। 
৩. ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। 
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লেবুর রস। 
৫. ত্বক পরিষ্কার রাখে। 
৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
৭. মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করে। 
৮. চোখ ভালো রাখে। 
৯. দাঁতব্যথা কমায়। 
১০. গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুর জন্য ভীষণ উপকারি। 
১১. স্তন ক্যানসার সারাতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার।
১২.  শক্তি বাড়ায় লেবুর রস।

নতুন কম্পিউটার যেভাবে সাজাবেন

 
অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ
যে কাজটা প্রথমেই সারতে হবে সেটা হলো উইন্ডোজ আপডেট বা কম্পিউটার সিস্টেম হালনাগাদ। ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরোপুরি নিজের কম্পিউটারটি সর্বশেষ হালনাগাদে উন্নীত করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি একরকম অনিরাপদই থাকবেন। এতে হয়তো সময় লাগতে পারে কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজটা শেষ করলে এর সুফল অনলাইন, অফলাইন—দুই ধরনের পরিবেশেই পাবেন। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে Settings>Update and security>Check for Updates আর উইন্ডোজ ৭ বা ৮ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে উইন্ডোজের কন্ট্রোল প্যানেল খুলে System and Security>Windows Update>Check for Updates ক্লিক করুন। এভাবে উইন্ডোজ সিস্টেম তার প্রয়োজনীয় হালনাগাদ খুঁজে নেবে, ইনস্টল করবে, নিজে থেকে কম্পিউটার বন্ধ বা রিস্টার্ট নেবে এবং এ ধাপগুলো অনেকবার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
পছন্দের ব্রাউজার ইনস্টল
অনলাইন অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ করতে নিজের প্রিয় ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার ইনস্টল করা ছাড়া বিকল্প নেই। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন এজ ব্রাউজারটি যদিও খুব শক্তিশালী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন, ভালো না লাগলে জনপ্রিয় গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স বা অপেরা ব্রাউজার ইনস্টল করে নিন। এসব ব্রাউজারে অতিরিক্ত অনেক সুবিধা এবং ছোট ছোট প্রোগ্রাম, এক্সটেনশন বা অ্যাড-অন ব্যবহার করা যায়।
উইন্ডোজের নিজস্ব নিরাপত্তা
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে এখন আগে থেকেই উইন্ডোজ ডিফেন্ডার নামে বেশ কাজের এক নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত রয়েছে। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে অবশ্য সেটা মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস নামে আছে, যা ইন্টারনেট থেকে আগে নামিয়ে ইনস্টল করে নিতে হবে। উভয় সফটওয়্যারেই ভাইরাস ডেটাবেইস সর্বশেষ হালনাগাদ করে নিতে হবে। যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ায় সাধারণ ব্যবহারের জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যান্টিভাইরাস বা ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মোছা
নতুন কম্পিউটারের সঙ্গে প্রায়ই এমন অনেক সফটওয়্যার জুড়ে দেওয়া থাকে, যেগুলো নিজের কাজের জন্য একেবারেই প্রয়োজন নেই। এর মধ্যে বেশ কিছু সফটওয়্যার থাকে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বা বেশ অনেক আগের সংস্করণের, যার তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এসব সফটওয়্যার বেছে বেছে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে আনইনস্টল করে দিন। আর উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম হলে সম্পূর্ণ নতুন করে রিসেট করে নিতে পারেন https://goo.gl/G1Fyjj ওয়েবসাইট থেকে। এই টুলের মাধ্যমে সব অদরকারি অ্যাপ আপনাআপনি আনইনস্টল করে নেওয়া যাবে।
চালক সফটওয়্যার হালনাগাদ
নতুন কম্পিউটার হলে বা কম্পিউটারে নতুন করে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল এবং নতুন যন্ত্রাংশ যুক্ত করলে এর চালক সফটওয়্যার বা ড্রাইভার ফাইলগুলো ইনস্টল করে নিতে হয়। আর এসব ড্রাইভার ফাইলের সর্বশেষ হালনাগাদ নামিয়ে বা ইনস্টল করে নিলে সেগুলোর কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়, পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা। উইন্ডোজ ৭, ৮ বা ১০ অপারেটিং সিস্টেমে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ কি চেপে লিখুন Device Manager এবং Enter বোতাম চাপুন। এবার তালিকায় থাকা কোনো যন্ত্রাংশের নামের পাশে হলুদ আশ্চর্যবোধক চিহ্ন থাকলে সেটিতে ডান ক্লিক করে Update Driver Software... অপশনে ক্লিক করে ইন্টারনেটে স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করে নিন অথবা ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিজে থেকে ইনস্টল করে নিন।
এ ছাড়া নিজের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ সংস্করণ তাঁদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নিলেই ভালো হয়। বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় এমন সফটওয়্যারগুলো গুচ্ছ আকারে একেবারে ইনস্টল করতে হলে www.ninite.com গিয়ে করা যাবে। এভাবে সময় বেঁচে যাবে অনেকটাই। এ ছাড়া নিজস্ব টাইমজোন বা সময় ও তারিখ ঠিক করে নিতে হবে। ডেস্কটপে সাধারণ আইকনগুলো না থাকলে কিবোর্ডের উইন্ডোজ কি চেপে common icons লিখে এন্টার চেপে সেগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে।

জিমেইলে যে অ্যাটাচমেন্ট আর পাঠানো যাবে না

 
জিমেইল ব্যবহারকারীদের অ্যাটাচমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোর হচ্ছে। সম্প্রতি গুগল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে জিমেইলে অ্যাটাচমেন্ট আকারে আর জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইল পাঠানো যাবে না। গুগলের ব্যবসা ও এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার জিস্যুইটের এক অফিশিয়াল ব্লগে এ ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইল নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে গুগলে নিরাপত্তাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর ডট জেস (.js) ফাইল এক্সটেনশন অ্যাটাচমেন্ট আকারে পাঠানো যাবে না। ওই তারিখের পর জাভাস্ক্রিপ্ট অ্যাটাচমেন্ট পাঠাতে গেলে একটি বার্তা পাবেন ব্যবহারকারী। যাতে লেখা থাকবে, নিরাপত্তার কারণে এ ধরনের ফাইল পাঠানো নিষিদ্ধ।
বর্তমানে নিরাপত্তার কারণে জিমেইল ব্যবহার করে বেশ কিছু ফাইল পাঠানো যায় না। এর মধ্যে রয়েছে ডট ইএক্সই (.exe) , ডট জেএসই (.jse), ডট এডিই (.ade) ও ডট এডিপি (.adp)। 
বর্তমানে ডট জেস ফাইল আকারে ক্ষতিকর ভাইরাস পাঠিয়ে সাইবার আক্রমণ করা হচ্ছে। গত বছরে ইয়াহু মেইলের একটি নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ইমেইলে ডট জেএস এক্সটেনশন ব্যবহার করে ক্ষতিকর মেইল পাঠানোর সুযোগ পেয়েছিল সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ ধরনের মেইল একবার খুললে ওই কোড কাজ শুরু করে ও হ্যাকিংয়ের পথ খুলে যায়। 
গত বছরের এপ্রিল মাসে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষও ডট জেএস অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করে স্প্যাম প্রচারের বিষয়টি লক্ষ্য করে। যাঁরা গুগলের প্ল্যাটফর্মে জাভাস্ক্রিপ্ট পাঠাতে চান তাঁদের গুগল ড্রাইভ ও গুগলে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে হবে।
তথ্যসূত্র: ম্যাশেবল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপণনে করা ৫ ভুল

 
পণ্যের বিপণনে কিংবা ব্র্যান্ডের উন্নয়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পথে এগোলে এর বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীর কাছে পণ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়া অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে সহজ ও বেশি কার্যকর। এক ফেসবুকেই মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর পরিমাণ ১৮০ কোটি। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনন্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা যোগ করলে পরিমাণটা আরও বেড়ে যাবে। তবু বিপণনকারীরা পণ্যের প্রচারে কিছু ভুল প্রায়ই করে থাকেন। এমনই পাঁচটি ভুল তুলে ধরা হলো এখানে।

প্রতিটা মাধ্যমে একই পোস্ট দেওয়া
একই লেখা বা ছবি প্রতিটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা খুব বিরক্তিকর। যদি তাই করা হয় তবে একজন মানুষ কেন একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সবগুলো অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করবে? লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপারসের বিপণন পরিচালক জো লেগাজ এ বিষয়ে বলেন, এক একটি মাধ্যমের বিশেষত্ব এক এক রকম। যেমন লিংকডইন পেশাদারি উন্নয়নের জন্য। টুইটার দ্রুত সংবাদ প্রচারের জন্য। আর ইনস্টাগ্রাম মূলত ছবি প্রচারের জন্য। আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে কোন মাধ্যমে সফলতা কতটুকু এবং সে অনুযায়ী পোস্ট করা উচিত।
ইচ্ছেমতো প্রচারমূলক পোস্ট দেওয়া
প্রতিটা পোস্ট প্রচার (স্পনসর্ড) করার দরকার নেই। আবার যখন আপনি মনে করবেন যে আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য এখনই উপযুক্ত সময় তাহলে এই ধরনের পোস্ট দিতে দ্বিধা করবেন না।
মাঝেমধ্যে কিংবা খুব বেশি পোস্ট করা
গ্রাহক আপনার পণ্যের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য পেতে চায়। আর তাই অনেক দিন পরপর পোস্ট দেওয়াটা ঠিক না। আবার অতিরিক্ত পোস্ট দিলেও গ্রাহকের বিরক্তির কারণ হতে পারে। সাধারণত টুইটারে দিনে ১৪ বার, স্নাপচ্যাটে ৫ বার এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ২ বার করে পোস্ট করা সহনীয় পর্যায় হিসেবে ধরা হয়। তবে পণ্যের ধরন অনুযায়ী তার পরিবর্তন হতে পারে।
গ্রাহকসেবার বেহাল দশা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যদি গ্রাহকসেবা দিয়ে থাকেন তবে আপনাকে এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। গ্রাহকের মতামত বা অভিযোগ পাওয়ার পরও যদি তার উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেন তাহলে গ্রাহক বিরক্ত হতে পারেন। আর এই মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিতে চাইলে সপ্তাহে ৭ দিন এবং সম্ভব হলে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে হবে।
অসততা অবলম্বন করা
আপনার ব্র্যান্ড বা পণ্যের দোষত্রুটির অভিযোগ আসতেই পারে। আবার পণ্য পরিবর্তন করিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ আসতে আরে। এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সহনশীল হতে হবে। আপনার গ্রাহকদের সঙ্গে অবশ্যই এ বিষয়ে সততার পরিচয় দিতে হবে। এতে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকেরা আরও বেশি আগ্রহী হবে।
#সূত্র: ফোর্বস

বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি

 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচক

বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই) এক বছরে আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের উন্নয়নশীল ৭৯টি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৩৬। এক বছর আগে একই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৪। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আয়ের ভিত্তিতে দেশটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ৬৬তম স্থানে থাকলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ৩০ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনুসরণ করা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পদ্ধতি একই আয়ের অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে অর্থ সংগ্রহে বাংলাদেশ একই আয়সীমার অন্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্থিতিশীল বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাথাপিছু জিডিপি আয়ে উন্নতি করলেও দেশটিতে সম্পদ বৈষম্য আগের তুলনায় বেড়েছে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতি ব্যবসা করা ক্ষেত্রে এখনো বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার এবং এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসার পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মৌলিক সেবা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরামর্শ রয়েছে ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে। শিক্ষার মান উন্নয়নেও বাংলাদেশকে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার হিসাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মাথাপিছু কর্মদক্ষতার আর্থিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৪৩৩ ডলার। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা লিথুনিয়ার শ্রমিকদের মাথাপিছু কর্মদক্ষতার আর্থিক মূল্য ৫৪ হাজার ২৯৬ ডলার। অর্থাৎ লিথুনিয়ার শ্রমিকেরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের তুলনায় ১০ গুণ বেশি দক্ষ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশে থাকা প্রতিটি দেশের শ্রমিকদের মাথাপিছু ন্যূনতম কর্মদক্ষতা ৩০ হাজার ডলার।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে দুভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী নেতার মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে বহুজাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতিবেদনের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে উন্নত ও উন্নয়নশীল এ দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে গত পাঁচ বছরে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সবচেয়ে উন্নতি করেছে আইসল্যান্ড। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে লেসোথো।

#prothom-alo

Thursday 26 January 2017

কাঁচা কলার উপকার‌‌িতা

 

কলা খুবই পরিচিত এবং সহজলোভ্য একটি ফল। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়। পাকা কলা ফল হিসেবে খাওয়া হয় আর কাঁচা কলা সবজি হিসেবে। এতেতৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন, মিনারেলসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। যদি ওজন কমাতে চান তবে রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়াও উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর ভালো উৎস কাঁচা কলা। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন
ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচা কলা। কাঁচা কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচা কলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
পাকা কলার মত কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে
কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচা কলা পেটের ভিতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।
ডায়রিয়ায় কাঁচা কলা
কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।


 #Collected